বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আধিপত্য বিস্তারের জের: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, ফাইল ছবি

ভয়েস প্রতিবেদক, উখিয়া:

উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ অজ্ঞাত প্রতিপক্ষের দুষ্কৃতিকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একটি লার্নিং সেন্টারের এক নৈশ প্রহরী নিহত হয়েছে।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।

নিহত মো. ইয়াছিন (৩৫) একই ক্যাম্পের সি-১ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুল বারী’র ছেলে।

নিহত মো. ইয়াছিন ক্যাম্পটিতে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালনাধীন শিশুদের জন্য চালু থাকা একটি লার্নিং সেন্টারের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে শামীম হোসেন বলেন, রোববার রাতে মো. ইয়াছিন উখিয়া উপজেলার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিনকার মত নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাতে অতর্কিত মুখোশধারী ৭/৮ জনের অজ্ঞাত একদল দুষ্কৃতকারী তাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইয়াছিনকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মো. ইয়াছিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ওসি বলেন, কারা, কি কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান শামীম হোসেন।

তিনি জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION